চীন পাকিস্তানকে গোপনে কম্ব্যাট ড্রোন দিয়েছে, একটি মার্কিন নজরদারি প্রতিষ্ঠান এ খবর জানিয়েছে। ড্রোনগুলোর পাখার বিস্তার ১৪ মিটার এবং এগুলো উইং লুং আই বলে উল্লেখ করা হয়েছে। উপগ্রহ থেকে পাওয়া উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে। ইয়াহু নিউজ।নিউইয়র্কভিত্তিক বার্ড কলেজের সেন্টার ফর স্টাডি অব ড্রোনের ৫ জানুয়ারির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যম উচ্চতায় উড়নক্ষম ড্রোনকে পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালির আলম বিমানঘাঁটিতে দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ড্রোনগুলো উইং লুং আই। দুই পাখার দৈর্ঘ্য বিবেচনায় নিয়ে এই মূল্যায়নটি করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এগুলো ভি টেইল আকারের ১৪ মিটার ডানা। অন্যান্য উইং লুং আই ড্রোনের চিত্র বিশ্লেষণ করে যে রকম তথ্য পাওয়া যায় তার সঙ্গে এর মিল রয়েছে। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা আইএইচএস জেন সেন্টার ফর স্টাডি অব ড্রোনের প্রতিবেদনটি সত্যায়ন করেছে। আইএইচএস জেন একই সময়ে ভিন্ন উপগ্রহ থেকে পাওয়া উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ওই তথ্যে উপনীত হয়েছে। উইং লুং আই আক্রমণ করতে সক্ষম মধ্যম উচ্চতায় উড়নক্ষম ড্রোন। এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন অব চায়না (এভিআইসি) ড্রোনগুলো তৈরি করে থাকে। এর দৈর্ঘ্য ৯ মিটার এবং ডানার বিস্তার ১৪ মিটার। এই ড্রোন ২৫ হাজার ফুট ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ২৮০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে। এর রেঞ্জ ৫ হাজার কিলোমিটার। আইএইচএস জেনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ড্রোনগুলোর ওজন ১ হাজার ১৫০ কেজি এবং এগুলো সর্বোচ্চ ২শ’ কেজি ওজন বহন করতে পারে। সরঞ্জামাদি বহন করার জন্য দুই ডানার মধ্যে পৃথক পৃথক ব্যবস্থা রয়েছে। একে মার্কিন প্রেডাটর ড্রোনের চায়নিজ সংস্করণ মনে করা হয়। পরীক্ষার উদ্দেশে ড্রোনগুলো পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছে বলে সেন্টার ফর স্টাডি অব ড্রোনের প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়েছে।বলা হয়েছে, মিয়ানওয়ালির আলম বিমানঘাঁটিতে আগে কখনও ড্রোন দেখা যায়নি। নবেম্বরের শেষ দিকে ওই ড্রোন সেখানে পাঠানো হয়ে থাকতে পারে। ড্রোনের রং সাদা, সাধারণত কম্ব্যাট ড্রোনের রং ধূসর হয়ে থাকে। ধারণা করা হচ্ছে এটি ড্রোনের টেস্ট ফ্রেম, অপারেশনাল ফ্রেম নয়। যদি তাই হয়ে থাকে তবে এটি পাকিস্তানের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা নয়। ২০১৬ সালের জুনে পাকিস্তান এয়ার ফোর্স উইং লুং আই ড্রোন নিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছে বলে উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে। আলম বিমানঘাঁটির কাছেই উইং লুং আইয়ের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। চীনের সহায়তায় পাকিস্তান কয়েক বছর ধরেই ড্রোন ব্যবহার করছে। ২০১৩ সালে দেশটি প্রথম আক্রমণক্ষম ড্রোন তৈরি করে। পাক সেনাবাহিনীর দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছিল তারা বুররাক ও শহপার নামে দুটি ড্রোন তৈরি করেছে। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা পাকিস্তানের দাবির প্রতি সংশয় পোষণ করে বলেছিলেন, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামরিক ড্রোন তৈরি করা কিছুটা কঠিন। সাধারণ ড্রোন তৈরি করা সহজ। পাকিস্তান সম্ভবত চীনা প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটি তৈরি করেছে। বুররাক ও শহপার নামে দুটি ড্রোনের সঙ্গেই চীনের সিএইচ-৩ ইউইভি ইউএভি ড্রোনের প্রচুর মিল রয়েছে। পাকিস্তানের দাবি স্থানীয় সংস্থা গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল এ্যান্ড ডিফেন্স সলিউশন্স এবং ন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড সায়েন্টিক কমিশন ড্রোনগুলো তৈরি করেছে। এর উৎপত্তিস্থল যেখানেই হোক পাকিস্তান ২০১৫ সাল থেকে জঙ্গীবিরোধী অভিযানে এই ড্রোন ব্যবহার করে আসছে।
Post Top Ad
Responsive Ads Here
Monday, January 15, 2018

পাকিস্তানে চীনা কম্ব্যাট ড্রোন
Tags
# আন্তর্জাতিক
Share This

About News Desk
আন্তর্জাতিক
Labels:
আন্তর্জাতিক
Post Bottom Ad
Responsive Ads Here
Author Details
Templatesyard is a blogger resources site is a provider of high quality blogger template with premium looking layout and robust design. The main mission of templatesyard is to provide the best quality blogger templates which are professionally designed and perfectlly seo optimized to deliver best result for your blog.