নতুন বছরের প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে জিম্বাবুইয়েকে উড়িয়ে দিয়ে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে শুভ সূচনাও করল। জিম্বাবুইয়েকে ৮ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচ ছিল এটি। প্রথম ম্যাচেই জিতে যায় মাশরাফিবাহিনী। জিম্বাবুইয়ে আগে ব্যাট করে ৪৯ ওভারে ১৭০ রান করতেই অলআউট হয়ে যায়। সাকিব আল হাসান দুর্দান্ত বোলিং করেন। তার ওপরই ভরসা থাকে। তিনি তিন উইকেট শিকার করে সেই ভরসার প্রতিদানও দেন। জিম্বাবুইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন সিকান্দার রাজা। জবাব দিতে নেমে ২ উইকেট হারিয়ে ২৮.৩ ওভারে ১২৯ বল বাকি থাকতে ১৭১ রান করে জিতে যায় বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮৪ রান করেন তামিম ইকবাল। বল হাতে ২টি উইকেটই নেন সিকান্দার রাজা। কুয়াশায় যবুথবু দেশ। সেই ছোঁয়া গত কয়েকদিন ভালভাবেই নগরেও লেগেছে। তবে সোমবার ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরুর দিনটিতে ঠিকই রোদ্রকরোজ্জ্বল হয়ে ওঠে আকাশ। শীতে যে অবস্থা হয়েছিল তাতে মনে হয়েছিল দর্শক একেবারেই স্টেডিয়ামমুখী হবে না। কিন্তু দর্শক এসেছে। বাংলাদেশ দলকেও সমর্থন দিয়েছে। কিন্তু ১৫ মাস পর দেশের মাটিতে ওয়ানডে খেলছে বাংলাদেশ, ২০১৬ সালের অক্টোবরের পর আবার দেশের মাটিতে বাংলাদেশকে ওয়ানডে খেলা দেখতে আসা দর্শকের সংখ্যা কমই ছিল। আশানুরূপ নয়। তাতে বাংলাদেশ দলের দেশের মাটিতে দাপট কমে যায়নি। আগের মতোই আছে। জিম্বাবুইয়ে তা ভালভাবেই বুঝেছে। টস যখন বাংলাদেশ জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় তখনই যেন বাংলাদেশের দিকে জয়ের পাল্লা ভারি হয়ে যায়। বিকেলের পর যে কুয়াশা দেখা যায় তাতে আগে ফিল্ডিং করা দলেরই জেতার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তা প্রমাণও হলো। শুরুতেই জিম্বাবুইয়েকে অল্পতেই বেঁধে ফেলায় সহজ জয়ই তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৪ সাল থেকে যে জিম্বাবুইয়েকে ওয়ানডেতে হারিয়ে চলেছে বাংলাদেশ, সেই ধারা এবারও বজায় রেখেছে। টানা ৯ ম্যাচে জিম্বাবুইয়েকে হারাল বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে সবদিক মজবুত করেই নেমেছিল বাংলাদেশ। টস জিতুক আর হারুক; দুই হিসেবই মাথায় রেখে একাদশ গঠন করা হয়েছিল। তিন পেসার, দুই স্পেশালিস্ট স্পিনার ও ছয় ব্যাটসম্যান নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। ব্যাটিং কিংবা বোলিংয়ে যেদিকেই দরকার, বাংলাদেশ সেট ছিল। কিন্তু আগে বোলিং করাতে জিম্বাবুইয়ে শুরুতেই ডুবে যায় যেন। স্পিনে যে বাংলাদেশ শক্তিশালী, সঙ্গে পেস বোলাররাও গতির ঝড় তুলতে পারেন তা বুঝিয়ে দিলেন স্পিনার ও পেসাররা। শুরুটা করেন সাকিব। শেষটা করেন রুবেল। শুরুতে তিন বলে দুই উইকেট নেন সাকিব। শেষে টানা দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের আশা জাগান রুবেল হোসেন। মাঝপথে মুস্তাফিজুর রহমান, মাশরাফি, সানজামুল মিলে জিম্বাবুইয়ে ব্যাটসম্যানদের ভোগান। উইকেটও তুলে নেন। শেষদিকে সাকিব আরেকটি উইকেট নিয়ে দুই উইকেট নেয়া রুবেল ও মুস্তাফিজকে পেছনে ফেলে তিন উইকেট শিকার করে নেন। বাংলাদেশ বোলারদের ঐক্যবদ্ধ বোলিংয়ের সামনে শুধু সিকান্দার রাজাই টিকে থাকার চেষ্টা করেন। পিটার মুরও (৩৩) হাল ধরার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাজে দেয়নি। আর তাইতো ১৭০ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুইয়ে। এই রান করতে গিয়ে যে বাংলাদেশ জিতবে তা ধরেই নেয়া হয়। বিজয়ের (১৯) ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের পর তামিম-সাকিব মিলে যখন এগিয়ে যাচ্ছিলেন মনে হচ্ছিল ৯ উইকেটেই জিতে যাবে বাংলাদেশ। কিন্তু সাকিব (৩৭) সুন্দর খেলতে থেকে ১০৮ রানে গিয়ে আউট হয়ে যান। তামিমের সঙ্গে ৭৮ রানের জুটি গড়েন। যা বাংলাদেশকে বড় জয় এনে দিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। সাকিব আউটের পর তামিম ও মুশফিক মিলেই ম্যাচ জিতিয়ে দেন। তামিম ৯৩ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৮৪ রান করেন। আর মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ১৪ রান। সহজ জয়ই তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুইয়েকে উড়িয়ে দিয়েছে। সিরিজেও শুভ সূচনা করেছে।
Post Top Ad
Responsive Ads Here
Tuesday, January 16, 2018

শুভ সূচনা টাইগারদের ॥ ত্রিদেশীয় সিরিজ
Tags
# খেলাধুলা
Share This

About News Desk
খেলাধুলা
Labels:
খেলাধুলা
Post Bottom Ad
Responsive Ads Here
Author Details
Templatesyard is a blogger resources site is a provider of high quality blogger template with premium looking layout and robust design. The main mission of templatesyard is to provide the best quality blogger templates which are professionally designed and perfectlly seo optimized to deliver best result for your blog.