২০০৭-২০০৯ মৌসুমে স্পেন এতটাই দুর্বার হয়ে উঠেছিল, বিশ্লেষকরা বলেছিলেন এবার না পারলে আর কখনই নয়। ২০১০ বিশ্বকাপ জয় করে ভক্তদের বিশ্বাসের প্রতিদান দিয়েছিলেন জাভি-ইনিয়েস্তা-পিকেরা। ক্রিকেটবোদ্ধাদের অনেকে ভেবেছিলেন উড়তে থাকা ভারত এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় চিরায়ত ব্যর্থতার ইতিহাস মুছে ফেলবে। একের পর এক প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করে আকাশে উড়ছিল সময়ের পরাশক্তিরা। উঠে আসে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে। অতিমানবীয় ব্যাটিং আর নেতৃত্বগুণে লাইমলাইটে ছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু পারলেন না। টানা দুই হারে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ খোয়াল ২০তে। ২৮৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫১ রানে অলআউট ভারতের হার ১৩৫ রানে। প্রথম ইনিংসে অতিথিদের সংগ্রহ ছিল ৩০৭/১০। দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৩৫/১০ ও ২৫৮/১০। অভিষেকেই দুরন্ত বোলিংয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন প্রোটিয়া পেসার লুঙ্গি এনগিদি (১/৫১ ও ৬/৩৯)। সুপার কোহলিও পারলেন না দক্ষিণ আফ্রিকায় ২৫ বছর ধরে সিরিজ হারের করুণ ইতিহাসটা বদলে দিতে। দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট বিবেচনায় সেঞ্চুরিয়নে তুলনামূলক মন্থর উইকেটেও গতির ঝড় তুলেছেন এনগিদি। দ্বিতীয় ইনিংসে ২১ বছর বয়সী পেসার একাই নিয়েছেন ৩৯ রানে ৬ উইকেট। প্রোটিয়া পেস আক্রমণের আরেক তরুণ সেনানী কাগিসো রাবাদা নিয়েছেন ৩টি। খানিকটা অসমান বাউন্সের উইকেটে ২৮৭ রানের দুরূহ লক্ষ্য তাড়ায় আগেরদিনই (মঙ্গলবার চতুর্থদিন) পথ হারিয়েছিল ভারত। হারিয়েছিল দুই ওপেনার আর বড় ভরসা অধিনায়ক বিরাট কোহলির (৫) উইকেট। লড়াই করতে পারেনি তারা বুধবার শেষ দিনেও। ম্যাচ শেষ এক সেশনেই। দিনের প্রথম উইকেট দক্ষিণ আফ্রিকা পেয়েছে রান আউটে। প্রথম ইনিংসের মতো আবারও রান আউট হয়েছেন চেতেশ্বর পুজারা। প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে পেয়েছেন দুই ইনিংসেই রান আউটের তিক্ত স্বাদ। আগেরদিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান পার্থিব প্যাটেলকে (১৯) ফেরান কাগিসো রাবাদা। সীমানায় দারুণ ক্যাচ নেন মরনে মর্কেল। এরপরই এনগিদির জোড়া ছোবল। নিজের পরপর দুই ওভারে কৃষ্ণাঙ্গ পোর সাজঘরে ফেরান হার্দিক পা-িয়া (১৫) ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে (৩৮)। অষ্টম উইকেটে দলকে দেড় শ’ কাছে নিয়ে যান রোহিত শর্মা ও মোহাম্মদ শামি। ৪৭ রান করা রোহিত ফিরেছেন রাবাদার বাউন্সারে এবি ডি ভিলিয়ার্সের দুর্দান্ত এক ক্যাচে। শামিকে (১) আউট করে এনগিদি তুলে নেন তার পঞ্চম উইকেট। জাসপ্রিত বুমরাহকে ফিরিয়ে তিনিই ইতি টানেন ম্যাচের। টেস্টের এক নম্বর দলের পক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয়ের উল্লাসে মাতে প্রোটিয়ারা। স্কোর কার্ড দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস ৩৩৫/১০ (১১৩.৫ ওভার; এলগার ৩১, মার্করাম ৯৪, আমলা ৮২, ডি ভিলিয়ার্স ২০, ডুপ্লেসিস ৬৩, মহারাজ ১৮, রাবাদা ১১, মর্কেল ৬, এনগিদি ১*; বুমরাহ ০/৬০, শামি ১/৫৮, ইশান্ত ৩/৪৬, পা-িয়া ০/৫০, অশ্বিন ৪/১১৩)। ইনিংস ॥ ২৫৮/১০ (৯১.৩ ওভার; মারক্রাম ১, এলগার ৬১, আমলা ১, ডি ভিলিয়ার্স ৮০, ডুপ্লেসিস ৪৮, ডি কক ১২, ফিল্যান্ডার ২৬, মহারাজ ৬, রাবাদা ৪, মর্কেল ১০*, এনগিদি ১; অশ্বিন ১/৭৮, বুমরাহ ৩/৭০, ইশান্ত ২/৪০, শামি ৪/৪৯, পা-িয়া ০/১৪)। ভারত প্রথম ইনিংস ॥ ৩০৭/১০ (৯২.১ ওভার; বিজয় ৪৬, রাহুল ১০, পুজারা ০, কোহলি ১৫৩, পা-িয়া ১৫, অশ্বিন ৩৮, শামি ১, ইশান্ত ৩, রোহিত ১০, পার্থিব ১৯, পা-িয়া ১১*, বুমরাহ ০*; মহারাজ ১/৬৭, মরকেল ৪/৬০, ফিল্যান্ডার ১/৪৬, রাবাদা ১/৭৪, এনগিদি ১/৫১)। দ্বিতীয় ইনিংস ১৫১/১০ (৫০.২ ওভার; বিজয় ৯, রাহুল ৪, কোহলি ৫, পুজারা ১৯, পার্থিব ১৯, রোহিত ৪৭, পা-িয়া ৬, অশ্বিন ৩, শামি ২৮, ইশান্ত ৪, বুমরাহ ২*; ফিল্যান্ডার ০/২৫, রাবাদা ৩/৪৭, এনগিদি ৬/৩৯, মরকেল ০/১০, মহারাজ ০/২৬)। ফল ॥ দক্ষিণ আফ্রিকা ১৩৫ রানে জয়ী। সিরিজ ॥ তিন টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকা ২-০তে এগিয়ে। ম্যান অব দ্য ম্যাচ ॥ লুঙ্গি এনগিদি (দক্ষিণ আফ্রিকা)।
Post Top Ad
Responsive Ads Here
Thursday, January 18, 2018

সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট, কোহলির ভারতও পারল না
Tags
# খেলাধুলা
Share This

About News Desk
খেলাধুলা
Labels:
খেলাধুলা
Post Bottom Ad
Responsive Ads Here
Author Details
Templatesyard is a blogger resources site is a provider of high quality blogger template with premium looking layout and robust design. The main mission of templatesyard is to provide the best quality blogger templates which are professionally designed and perfectlly seo optimized to deliver best result for your blog.