চিকিৎসকেদের মতে অনিয়ন্ত্রিত জীবন, জাঙ্ক ফুডের প্রতি দুর্বলতা এবং ধূমপান-মদ্যপানের মতো নেশা করার কারণে রক্তে বাড়তে শুরু করে খারাপ কোলেস্টেরল ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা, যা এক সময়ে গিয়ে হার্টে রক্ত সরবরাহের পথ আটকে দেয়। ফলে বাড়ে হাঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা। আজকের দিনে যুবসমাজের একটা বড় অংশই কর্পোরেট সেক্টরে কর্মরত। আর যেমনটা সবারই জানা আছে যে বেসরসারি সংস্থায় কাজের চাপ সময়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে, কমে তো নাইই। আর এত কাজের চাপে না আছে ঠিক মতো ঘুমানোর সময়, না আছে সময় খাওয়ার। তাই তো উচ্চরক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা এই বয়সীদের মধ্যে এতটা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বেশ কিছু খাবার নিয়মিত খাওয়া শুরু করতে হবে। কারণ এই খাবারগুলি নিয়মিত খাওয়া শুরু করলে রক্তে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যাবে। ফলে বাড়বে আয়ু, কমে রোগভোগের আশঙ্কা। প্রসঙ্গত, যে যে খাবারগুলি নিয়মিত খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে সেগুলি হল...১. সয়াবিন ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কীভাবে কমাবেন তাই নিয়ে কি চিন্তায় রয়েছেন? তাহলে আজ থেকেই সয়াবিন বা সয়ামিল্ক খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ২৫ গ্রাম করে সয়া প্রোটিন শরীরে প্রবেশ করলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা প্রায় ৫-৬ শতাংশ হারে কমতে শুরু করে। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে এল ডি এল কোলেস্টেরলের মাত্রা যত কমে, তত হার্টের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ২. ওটস খারাপ কোলস্টেরলের মাত্রা কমাতে ওটসের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই খাবারটির অন্দরে থাকা ফাইবার একদিকে যেমন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, অন্যদিকে উপকারি কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে থাকে। ফলে শরীরের কোনো ক্ষতি হওয়ার পরিবর্তে দেহের নানা উপকার হতে থাকে।৩. আপেল, আঙুর, জাম, সাইট্রাস ফল এই ফলগুলিতে রয়েছে পেকটিন নামক একটি উপাদান, যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে দারুনভাবে কাজে আসে। তাই তো পরিবারে যদি হাই কোলেস্টেরলের মতো নন-কমিউনিকেবল ডিজিজের ইতিহাস থাকে, তাহলে ভুলেও প্রতিদিনের খাদ্য তালিকা থেকে এই ফলগুলিকে বাদ দেবেন না যেন! প্রসঙ্গত, পাতি লেবু এবং কমলা লেবুর মতো সাইট্রাস ফল খেলেও কিন্তু সমান উপকার পাওয়া যায়। ৪. আপেল সিডার ভিনেগার এক গ্লাস পানি এক চামচ আপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে ফেলুন। দিনে দুবার এই পানীয়টি খেলে দেখবেন অল্প সময়ের মধ্যেই কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করবে। ৫. আমলকি এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ আমলকি পাউডার মিশিয়ে প্রতিদিন খালি পেটে পান করা শুরু করুন। কয়েক সপ্তাহ এই ঘরোয়া টোটকাকে কাজে লাগালেই দেখবেন কোলেস্টেরল একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। ৬. বিনস ফাইবার সমৃদ্ধ এই প্রাকৃতিক উপাদানটিকে যদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন, তাহলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার কোনো আশঙ্কাই থাকবে না। কারণ ফাইবার হল খারাপ কোলেস্টেরলের যম। তাই তো এই উপাদানটির মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া মানে স্বাভাবিকভাবেই খারাপ বা ‘এল ডি এল’ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে থাকা।৭. বাদাম কোলেস্টেরল কমাতে আখরোট এবং কাজু বাদাম দারুন কাজে আসে। আসলে এই দুটি বাদামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। আর একথা তো সকলেরই জানা হয়ে গেছে যে ফাইবার কোলেস্টেরল কমাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। তবে বেশি মাত্রায় বাদাম আবার খাবেন না যেন! তাতে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। অল্প অল্প করে বাদাম খেলে দেখবেন নানা উপকার মিলবে। ৮. মধু ও পেঁয়াজের রস এক চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে একবার করে এই মিশ্রন খান। টানা কয়েক মাস খেলেই সুফল মিলতে শুরু করবে। ৯. ধনে বীজ কোলেস্টেরল কমাতে এটির কোনো বিকল্প নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ ধনিয়া বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে জলটা একটু গরম করে নিতে হবে। তারপর পান করতে হবে। দিনে দুবার করে এই পানি খেলে দেখবেন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করেছে। সবজি এবং ফলে মেশানো রাসায়নিক থেকে যে মারাত্মক রোগগুলো হয় ১০. কমলা লেবুর রস এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি এবং ফ্লেবোনয়েড, যা বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। তাই এই শীতে প্রতিদিন কম করে ২-৩ বার কমলা লেবুর রস খেতে ভুলবেন না যেন! ১১. মাছ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত মাছ খাওয়া শুরু করলে শরীরে উপকারি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
Post Top Ad
Responsive Ads Here
Friday, January 12, 2018

রক্তে কখনো খারাপ কোলেস্টেরল বাড়বে না যে ১১টি খাবার খেলে
Tags
# স্বাস্থ্য
Share This

About News Desk
স্বাস্থ্য
Labels:
স্বাস্থ্য
Post Bottom Ad
Responsive Ads Here
Author Details
Templatesyard is a blogger resources site is a provider of high quality blogger template with premium looking layout and robust design. The main mission of templatesyard is to provide the best quality blogger templates which are professionally designed and perfectlly seo optimized to deliver best result for your blog.