
অনেকেই হাঁটু ও কনুইতে কালো দাগ ও বলিরেখা সমস্যায় থাকেন। এ সমস্যা সৌন্দর্যচর্চায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এ লেখায় থাকছে হাঁটু ও কনুইয়ের বলিরেখা দূর করার কিছু উপায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
কারণ
বিভিন্ন কারণে হাঁটু ও কনুইয়ে বলিরেখা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে সেলিব্রিটি ফিটনেস এক্সপার্ট মিকি মেহতা বলেন, অনেকেই দ্রুত ওজন কমাতে গিয়ে শরীরের ওপর বাজে প্রভাব ফেলেন। এজন্য হতে পারে হাঁটু ও কনুইয়ে বলিরেখা। দেহের এ দুটি অংশ খুবই সংবেদনশীল। বিমেষ করে অল্প বয়সে হাঁটু ও কনুইয়ের ওপর দিয়ে খেলাধূলাসহ নানা কারণে প্রচুর অত্যাচার বয়ে যায়। এছাড়া ধুলোবালিও দেহের এ দুটি অংশে লেগে যায়। বাড়িতে কিংবা অফিসে কাজ করার সময় এ দুটি অংশের ওপর ভর করে অনেকেই কাজ করেন। ফলে সব মিলিয়ে হাঁটু ও কনুইয়ে বলিরেখা পড়ে যায়।
যা করা উচিত
মেহতার মতে হাঁটু ও কনুইয়ে বলিরেখা দূর করতে হলে পুষ্টিকর খাবার ও ফলমূল খেতে হবে বেশি করে। বিশেষ করে লেবুজাতীয় ফল ও বেরি, সবজি, বাধাকপি, সবজির জুস, দানাদার খাবার, বাদাম ও বিভিন্ন ধরনের বীজ খেতে হবে। এ খাবারগুলো প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যোগাবে যা হাঁটু ও কনুইয়ে বলিরেখা দূর করবে। এছাড়া যারা ওজন হ্রাস করতে চান তারা তা দ্রুত না করে ধীরে ধীরে করুন। এতে ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষিত হবে। এছাড়া অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের অন্য অংশকেও বুড়িয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করবে। এছাড়া হাঁটু ও কনুইয়ে বলিরেখা দূরে রাখতে ধূমপান থেকেও বিরত থাকা উচিত। তিনি জানান, ধূমপানের ফলে ত্বকের নমনীয়তা নষ্ট হয় এবং বলিরেখা সৃষ্টি করে।
হাঁটু ও কনুইয়ে বলিরেখা থেকে দূরে থাকতে আরও কয়েকটি সতর্কতা অবলম্বন করা যায়। এসবের মধ্যে রয়েছে বেশি করে ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার গ্রহণ করা। এছাড়া অতিরিক্ত সূর্যতাপ থেকে দূরে থাকতে হবে এবং ত্বক যেন অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে না যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় প্রসাধনী ব্যবহার করতে হবে।
চিকিৎসাবিদ্যায় সমাধান
যাদের মাত্রাতিরিক্ত হাঁটু ও কনুইয়ে বলিরেখা রয়েছে তারা কিছু উপায়ে তা কমিয়ে ফেলতে পারেন। এজন্য রয়েছে লেজার চিকিৎসার ব্যবস্থা। লেজারের মাধ্যমে ট্রিটমেন্ট নেওয়া হলে তা হাঁটু ও কনুইয়ে বলিরেখা দূর করতে পারে। তবে এটি যথেষ্ট ব্যয়বহুল এবং একান্ত প্রয়োজনীয় না হলে অন্য উপায়গুলো দেখতে পারেন।
কয়েকটি টিপস
কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করলে হাঁটু ও কনুইয়ের সাধারণ বলিরেখা থেকে দূরে থাকা যায়। এক্ষেত্রে সবার আগে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ময়েশ্চারাইজার নিয়মিত লাগালেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিস্থিতির উননতি হয়। এছাড়া রয়েছে গ্লাইকোলিক এসিড ও ল্যাকটিক এসিডযুক্ত ক্রিম। এটি ত্বকের ভিন্ন রঙ ধারণ করা থেকে বাঁচাবে। এছাড়া লিকুইড প্যারাফিন ও শিয়া বাটারযুক্ত যে কোনো লোশন ও ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।