ইউরোপজুড়ে তিন দিন ধরে প্রবল তুষারপাত ও তুষারঝড় বইছে। প্রচণ্ড ঠান্ডা ও বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই ইউরোপে তাপমাত্রা বেশ কম। নতুন করে সৃষ্ট মেরু ঘূর্ণির ফলে তীব্র ঠান্ডায় ইউরোপের দেশগুলোতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। অনেক দেশে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। গত শনিবার রাত থেকেই উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ ইউরোপে তাপমাত্রা মাইনাস ১০ থেকে মাইনাস ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।
আবহাওয়াবিদদের তথ্য অনুযায়ী, এই বছরের শীতে প্রথমবারের মতো রেকর্ড পরিমাণ ঠান্ডা পড়েছে। এ সপ্তাহজুড়ে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে।তীব্র শীত ও তুষারপাতের কারণে মধ্য ইউরোপের বেশ কিছু বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। রাস্তাঘাট পিচ্ছিল হওয়ার কারণে বহু জায়গায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভারী তুষারপাত এবং পিচ্ছিল আবহাওয়ার কারণে সোমবার রাতে পূর্ব ফ্রান্সে প্রায় দুই হাজার গাড়ি মহাসড়কে আটকা পড়ে। ফ্রান্স-সুইজারল্যান্ডের সীমান্তবর্তী এলাকায় ৪০ গাড়িতে থাকা লোকজনকে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়। সীমান্তের বেলগ্রাডস এবং মন্ট ব্লাঙ্ক মহাসড়ক টানেলে যান চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে। বিগত ১০ বছরের তুলনায় হল্যান্ডে রেকর্ড তুষারপাতের ঘটনা ঘটেছে। জার্মানি এবং হল্যান্ডের মধ্যে দূরপাল্লার ট্রেন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।
তিন দিন ধরে অবিরাম তুষারপাতের কারণে জার্মানির হামবুর্গ, সিলসভিগ হোলস্টাইন, থুরিংগেন, নিদারসাক্সেন, মেকলেনবুর্গ ফরপমেন ও নর্থ রাইন ভেস্টফালেন রাজ্যগুলোতে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে জার্মানির কয়েকটি মহাসড়কে বেশ কিছু গাড়ি তুষারে আটকা পড়ে। পরে মহাসড়ক পুলিশ গাড়িতে থাকা লোকজনকে উদ্ধার করেছে। ডর্টমুন্ড শহরের নিকটবর্তী মহাসড়কে বড় ট্রাক আটকা পড়লে চালকদের কম্বল ও খাদ্য বিতরণ করেছে পুলিশ।
জার্মানির যোগাযোগ ও পরিবহনমন্ত্রী আন্দ্রেয়াস শিউইয়ার উত্তর এবং মধ্য জার্মানির মধ্যবর্তী রাজগুলোর নাগরিকদের বুধবার পর্যন্ত ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছেন।