কক্সবাজার-ঢাকা রেলপথের দ্বিতীয় ট্রেন ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কক্সবাজার পৌঁছেছে। সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছেড়ে ৯ ঘণ্টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে পৌঁছে। ট্রেনটিতে আসনসংখ্যা ৭৮০টি। পূর্ণ যাত্রী নিয়েই এটি এসে পৌঁছায় কক্সবাজারে।
পর্যটক এক্সপ্রেস নির্ধারিত সময়ে কক্সবাজারে পৌঁছায় স্বস্তি ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।
অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী রেজাউল হাসান ভুট্টো কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে পা রেখেই কালের কণ্ঠকে বললেন, ‘আর কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। বাংলাদেশ আরো অনেক এগিয়ে যাবে। ট্রেনে এসে কক্সবাজার সাগরপারে পা রাখব কল্পনাই করিনি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ তা বাস্তবে রূপ দিয়েছেন।
পর্যটক এক্সপ্রেসে প্রথম যাত্রী হয়ে কক্সবাজার এসেছেন এক নবদম্পতি। ইচ্ছা ছিল ট্রেনে চড়ে সাগরপারে হানিমুন করার। তাঁদের সেই ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। দুজনই লেখাপড়া করছেন।
লামিয়া শারমিন ময়মনসিংহের মেয়ে। পড়ালেখা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে। সেখানেই থাকে পরিবারের সদস্যরা। ঢাকায় এসে বিয়ে করেন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র মাসুক আহমদকে। তিনি পড়েন নর্থ নাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
লামিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশে আমার প্রথম ট্রেনে চড়া পর্যটক এক্সপ্রেসে। তা-ও সরাসরি কক্সবাজারের সাগরপারেই নামলাম, এই তো বেশ।’
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান লালু ১৪ জনের বহর নিয়ে নেমেছেন ট্রেন থেকে। চারদিকে তাকিয়ে বললেন, এত সুন্দর আইকনিক রেলস্টেশন আর এত সুন্দর কক্সবাজার।
তিনি জানালেন, চমৎকার এক ভ্রমণ। ট্রেন বালাদের সেবাও দারুণ। খাবারদাবারও একদম টাটকা। তবে মোবাইলে চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থায় একটু ত্রুটি ছিল। ওয়াশরুমে পানি সরবরাহেও একটু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তবু রাজধানী থেকে সরাসরি সৈকত শহর কক্সবাজারে মাত্র ৯ ঘণ্টায় আসতে পেরে তাঁর খুব ভালো লাগছে।
গত রাত ৮টায় ট্রেনটি আবার ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। যাত্রার সময়ও ৭৮০ জন যাত্রীর টিকিট হয়ে গেছে বলে জানান স্টেশন মাস্টার গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, আগামী মাসে আরো দুটি ট্রেন কক্সবাজারের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এগুলো নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১০টি ট্রেন কক্সবাজারের সঙ্গে সংযুক্ত হবে।