চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় পরবর্তী সময়ে শক্তিশালী অনেক অ্যান্টিবায়োটিকের আবিষ্কার রোগের চিকিৎসাকে সহজতর করেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবাণুও হয়েছে স্মার্ট ও শক্তিশালী। অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় শক্তিশালী অনেক ওষুধকে অকার্যকর করার জন্য জীবাণুরাও নিজেদের করেছে উন্নত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সংজ্ঞা মতে, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্স তখন বলা হয়, যখন ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, ভাইরাস ও অন্যান্য পরজীবী জীবাণু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এমনভাবে পরিবর্তিত হয় যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধ তাদের আর ধ্বংস করতে পারে না।
এতে যেকোনো সংক্রমণের চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়ে এবং জটিল ও প্রাণঘাতী রোগ দ্রুত বিস্তার লাভ করে।
কারণ
অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ইনফেকশন সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার উদ্ভব একটি স্বাভাবিক প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া হলেও এর জন্য অনেক কারণ দায়ী। আর সেগুলো হচ্ছে :
- অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ওষুধের যথেচ্ছ, অপ্রয়োজনীয় ও অতি ব্যবহার।
- সঠিক রোগ নির্ণয়ের আগে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রবণতা।
- অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের সঠিক মাত্রা ও ব্যবহার কাল নিশ্চিত না করা।
- প্রেসক্রিপশন ছাড়াই এ ধরনের ওষুধের ক্রয়-বিক্রয়।
- জনগণ ও ওষুধ বিক্রেতা উভয়ের অজ্ঞতা।
- যথাযথ আইনের অভাব ও বিদ্যমান আইনের প্রয়োগের অভাব।