মাছে-ভাতে বাঙালির একটি দিন কাটানোও কঠিন ভাত ছাড়া। তবে কেউ যখন ওজন কমানোর যুদ্ধে নামেন, তখন প্রথমেই কিন্তু খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেন ভাতকেই। কেননা ভাত রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে ওজন কমানো কঠিন হয়ে পড়ে।
অনেকে একেবারেই ভাত বাদ দিতে পারেন না বলে সাদা চালের পরিবর্তে লাল চালের ভাত খেয়ে থাকেন। কেননা সাদা চালের তুলনায় লাল চাল পুষ্টিকর। অনেকেই ভাবেন, ভাত খাওয়ার কারণেই হয়তো বা ওজন কমানো যাচ্ছে না। পুষ্টিবিদরা কিন্তু বলছেন ভিন্ন কথা।
তাদের মতে, ভাত খেয়েও ওজন কমানো যায়। সে ক্ষেত্রে পরিমিত ভাত ও এর সঙ্গে কী খাচ্ছেন, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। ওজন কমাতে চান এবং খাদ্যতালিকায় ভাতও রাখতে চান যারা, তারা কিছু বিষয় খেয়াল রাখুন―
• ভাত উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার। তাই ঠিক যতটা না হলেই নয় ততটুকুই ভাত খান।
মনে রাখুন, যতটুকু ক্যালরি গ্রহণ করবেন তা খরচও করতে হবে। তাই পরিমাণ বুঝে ভাত খেতে হবে।
যতটুকু ক্যালরি গ্রহণ করবেন তা খরচও করতে হবে। তাই পরিমাণ বুঝে ভাত খেতে হবে
• এক কাপের কম ভাত খাওয়ার চেষ্টা করুন। একমাত্র কার্বোহাইড্রেট হিসেবে ভাত খেতে পারেন, তবে সে ক্ষেত্রে দিনে অন্য কোনো কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করা উচিত হবে না।
• প্লেটে যতটুকু ভাত নেবে তার দ্বিগুণ পরিমাণ শাক বা সবজি নিন। শাকসবজির সঙ্গে হোল গ্রেইন বা পুরো শস্যজাতীয় খাবার গ্রহণ করুন। একবারে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার গ্রহণ করলে এটি পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতেও সহায়তা করে।
• ভাত খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়েন অনেকেই। ওজন কমাতে চাইলে এ কাজ করা যাবে না। খাওয়ার পর ১৫-২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন। এতে শরীরে বাড়তি চর্বি জমার সুযোগ থাকবে না। অন্যদিকে দুপুরে ভাত খাওয়ার পর ব্ল্যাক কফি বা সবুজ চা খেতে পারেন। এ অভ্যাস ভাতঘুম তাড়াবে এবং শরীরে মেদ জমতে দেবে না।