শুঁটকি মৌসুম শুরু এবার দুবলায় ৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য
জেলেদের পদভারে মুখর হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা দুর্গম দ্বীপ দুবলা শুঁটকিপল্লী। গত শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে সাগরে মৎস্য আহরণ। এ বছর শুঁটকি খাত থেকে পাঁচ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার ১০ সহস্রাধিক জেলে-মহাজন ও দোকানি পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা টহল ফাঁড়ির আওতাধীন আলেরকোল, মাঝেরকিল্লা, নারকেলবাড়িয়া, শ্যালার চরসহ চারটি চরে শুঁটকি উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন।
এর মধ্যে সবচেয়ে বড় শুঁটকিপল্লী আলোরকোলেই রয়েছেন পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ। তাঁরা সবাই এখন কর্মব্যস্ত। জেলেদের এক দল সাগরে ছুটছেন মৎস্য আহরণে। সেই মাছ শুকানোর কাজ করছেন কেউ কেউ।
আবার অনেকে এখনো বসত ও শুঁটকি সংরক্ষণের ঘর এবং মাছ শুকানোর মাচা, চাতাল ও আলনা তৈরি করছেন বলে জানিয়েছে বন বিভাগ।
আলোরকোল শুঁটকিপল্লীর বন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ মজুমদার রবিবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে জানান, চারটি চরের মধ্যে আলোরকোল উল্লেখযোগ্য। এই একটি চরেই জেলে, মহাজন, অন্যান্য ব্যবসায়ী মিলিয়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি লোকের সমাগম দেখা গেছে। তাঁরা মাছ ধরা, ঘর তৈরি থেকে শুরু করে নানা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এরই মধ্যে সাগর থেকে মাছ ধরে চরে ফিরতে শুরু করেছেন জেলেরা। ডিপোর মাচা, আলনা ও চাতালে মাছ শুকাতে দেখা গেছে।
দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. খলিলুর রহমান জানান, দুবলার আওতাধীন চারটি চরের শুঁটকিপল্লীতে ১০ হাজারেরও বেশি জেলে, মহাজন ও দোকানি এসেছেন। সবাই এখন কর্মব্যস্ত। শুক্রবার সকাল থেকেই সাগরে মাছ ধরা শুরু হয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) শেখ মাহাবুব হাসান বলেন, চারটি চরে ২ নভেম্বর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পাঁচ মাস শুঁটকি সংশ্লিষ্ট ১০ সহস্রাধিক লোক অবস্থান করবেন। বন বিভাগের নির্দেশনা মেনেই সবাইকে কাজ করতে বলা হয়েছে।
এসিএফ মাহাবুব হাসান আরো বলেন, এ বছর শুঁটকি খাত থেকে পাঁচ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে রাজস্বের লক্ষ্য পুরণ হবে।